গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বে করোনার পরিবর্তন (মিউটেশন) হার ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ হার ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ।
বিসিএসআইআর মিলনায়তনে সংস্থার জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং প্রতিবেদন অবহিতকরণ সভায় রবিবার বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আফতাব আলী শেখ এসব তথ্য জানান।
বিসিএসআইআরের গবেষণায় করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) জিনগত বৈচিত্র্য পর্যবেক্ষণ করার জন্য সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সর্বমোট ২৬৩টি জিনোম সিকোয়েন্সিং ও ডাটা বিশ্লেষণ করা হয়।
এ নমুনা চলতি বছরের ৭ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়।
নমুনাগুলোর জিনোম সিকোয়েন্সিং করে আন্তর্জাতিক ডাটাবেজ গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি)-তে প্রকাশ করা হয় বলে জানানো হয় সভায়।
সংগৃহীত নমুনায় শত ভাগ ক্ষেত্রে আধিপত্যকারী ভ্যারিয়েন্ট জি৬১৪ এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ২৬৩টি সার্স-কোভ-২ জিনোম বিশ্লেষণে ৭৩৭ পয়েন্টে মিউটেশন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৩৫৮ নন-সিনোনিমাস অ্যামিনো এসিড প্রতিস্থাপন ঘটায়। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে বার্ষিক মিউটেশনের হার ২৪ দশমিক ৬৪ নিউক্লিওটাইড।
স্পাইক প্রোটিনের জিনে ১০৩টি নিউক্লিওটাইড মিউটেশনের মধ্যে ৫৩টি নন-সিনোনিমাস অ্যামিনো এসিড প্রতিস্থাপন ঘটে যার মধ্যে পাঁচটি স্বতন্ত্র, যা বিশ্বে আর কোথাও নেই। সংগৃহীত নমুনায় শত ভাগ ক্ষেত্রে ৪টি মিউটেশন পুনরাবৃত্তি লক্ষণীয়।
গবেষণার ফলাফল প্রিন্ট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি রিসার্চ পেপার শিগগিরই আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হবে।
চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভাক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, আমেরিকার প্রতিষ্ঠান মর্ডানা এবং দ্য ইউনির্ভাসিটি অব অক্সফোর্ডসহ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা ৫০টি প্রতিষ্ঠানে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের কোভিড-১৯ উপযোগী ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে বিসিএসআইআর।